
স্মার্ট সংবাদ ডেক্স :
ঐতিহাসিক চরমোনাই মাহফিলের ফাল্গুন পর্ব শুরু হচ্ছে আগামীকাল বুধবার।
দেশব্যাপী লাখো মুসল্লী আত্মশুদ্ধির জন্য চরমোনাইতে আসতে শুরু করেছেন।
ইতোমধ্যে কয়েক লাখ মুসল্লী চরমোনাই ময়দানে অবস্থান করছেন এবং মাহফিলের দিন যতই এগোচ্ছে, ততই কাফেলাবদ্ধ মুসল্লীর সংখ্যা বাড়ছে।
এই বিশাল মাহফিলের জন্য ২০০ একরেরও বেশি জায়গা প্রস্তুত করা হয়েছে, যেখানে মুসল্লীদের জন্য পাঁচটি বিস্তৃত মাঠ নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিন দিনব্যাপী এই মাহফিলে মোট ৭টি মূল বয়ান পেশ করবেন দেশ-বিদেশের খ্যাতিমান ওলামায়ে কেরামগণ।
মাহফিলের ২য় দিনে দেশের শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ এবং তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়া, পাকিস্তানসহ বিভিন্ন দেশের ইসলামী নেতৃবৃন্দ তাদের বক্তব্য রাখবেন।
এদিন মুসল্লিরা বিশেষ দোয়া ও ইসলামিক বক্তৃতার মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি লাভের জন্য প্রার্থনা করবেন।
মাহফিলের ৩য় দিনে ছাত্র গণজমায়েত অনুষ্ঠিত হবে।
এখানে দেশের শীর্ষ বুদ্ধিজীবী এবং আরব বিশ্বের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখবেন।
এই জমায়েতে ইসলামের মৌলিক শিক্ষা, মূল্যবোধ এবং সমাজে ইসলামের প্রভাব নিয়ে আলোচনা করা হবে।
মাহফিলের সুষ্ঠু এবং নিরাপদ আয়োজনের জন্য ইতোমধ্যেই মাহফিল কর্তৃপক্ষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে।
চরমোনাই মাহফিলের জন্য বরিশাল জেলা পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং জনপ্রশাসনের সাথে সমন্বয় করা হয়েছে, যাতে লাখো মুসল্লী সাচ্ছন্দ্যে মাহফিলে আসতে পারেন এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়।
এছাড়া, চরমোনাইর পীর মুসুল্লীদের চিকিৎসা সহায়তার জন্য ১০০ শয্যার সৈয়দ মোহাম্মদ ফজলুল করিম রহমাতুল্লাহ হাসপাতাল চালু করা হয়েছে, যা মুসল্লীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করবে।
চরমোনাই মাহফিলে এবার আন্তর্জাতিক ইসলামী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতি নিশ্চিত হয়েছে।
সৌদি আরব, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, মরক্কো, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, সুদান, ফিলিস্তিনসহ বিভিন্ন দেশের ইসলামী নেতারা মাহফিলে অংশগ্রহণ করবেন।
তাদের উপস্থিতি মাহফিলকে আন্তর্জাতিক দৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী করে তুলবে।
এ বছর তিন দিনব্যাপী মাহফিলের শেষ দিনে, শনিবার সকাল ৮টায় আখেরী মোনাজাতের মধ্যদিয়ে এ মাহফিলের সমাপ্তি হবে।
More Stories
গৌরনদীতে ‘ভোটারবিহীন’ চেয়ারম্যানের অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ
শিশু হত্যা মামলার আসামী গ্রেপ্তার
মহাসড়ক অবরোধ করে বিএনপির গণঅবস্থান : দক্ষিণাঞ্চল অচলের হুমকি