
স্মার্ট সংবাদ ডেক্স :
জেলার গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়ে গ্রামপুলিশ ও কর্মচারীদের আফিস থেকে বের করে দিয়ে তালাবদ্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের হামলার ভয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. নুর আলম সেরনিয়াবাত দৌড়ে পালিয়ে আত্মরক্ষা করেছেন। একই সময় বিএনপির নেতাকর্মীদের হাতে ইউনিয়ন সচিব ও দুই গ্রামপুলিশ লাঞ্ছিত হয়েছেন। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবহিত করা হয়েছে।
খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুর আলম সেরনিয়াবাত আজ সোমবার (১৯ মে) সন্ধ্যায় আভিযোগ করে বলেন, ওইদিন সকাল সাড়ে দশটার দিকে আমি ইউনিয়ন পরিষদে বসে ভিজিএফ’র চাল বিতরনের শ্লিপ তৈরীর কাজ করছিলাম।
আকস্মিকভাবে খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আক্কেল আলী সরদারের নেতৃত্বে বিএনপির দেড় শতাধিক নেতাকর্মীরা পরিষদে হামলা চালিয়ে কাজকর্ম বন্ধ করে সিল-প্যাড ও কাগজপত্র নিয়ে যান।
হামলাকারীরা পরিষদের সচিব মো. নাসির উদ্দিনকে টেনে হেচরে অফিস থেকে বের করে দিয়ে পরিষদে তালাবদ্ধ করে দিয়েছেন। এ সময় গ্রাম পুলিশ মো. হুমায়ুন সরদার ও রিয়াদ হাওলাদার বাঁধা দিতে গিয়ে লাঞ্ছিত হন ।
খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদে সেবা নিতে আসা স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বিএনপির নেতাকর্মীদের অর্তকিত হামলার একপর্যায়ে সেবা নিতে আসা লোকজন আতঙ্কিত হয়ে দৌড়ে পালিয়ে নিজেদের আত্মরক্ষা করেছেন। এসময় সেবা নিতে আসা বাসিন্দাদের সাথে ইউপি চেয়ারম্যানও দৌড়ে নিজের প্রাণ বাঁচিয়েছেন।
পরিষদের সচিব মো. নাসির উদ্দিন বলেন, সরকারি কার্যক্রম বন্ধ রাখা ঠিক না বুঝিয়ে বললে প্রায় ঘন্টাখানেক পর হামলাকারীরা পরিষদের তালু খুলে দিয়েছেন। তবে চেয়ারম্যানকে পেলে হাত পা গুড়িয়ে দেয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে।
হামলার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য আক্কেল আলী সরদার বলেন, হামলার সাথে আমি জড়িত নেই। শুনেছি সাধারণ মানুষের হামলার মুখে চেয়ারম্যান পালিয়ে যাওয়ার পর পরিষদ তালাবদ্ধ করে দেয়া হলেও পরবর্তীতে তালা খুলে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আরা মৌরি বলেন, খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমাকে ফোনে বিষয়টি অবহিত করেছেন। তার সাথে বিস্তারিত আলাপ করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ, গত কয়েকদিন আগে গৌরনদী উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা ইউপি চেয়ারম্যানদের বরখাস্ত করার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও স্মারকলিপি দিয়ে সকল পরিষদ তালাবদ্ধ করে দিয়েছিলেন। পরেরদিন গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিফাত আরা মৌরি তালা খুলে দিয়েছেন।
More Stories
গৌরনদীতে ‘ভোটারবিহীন’ চেয়ারম্যানের অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ
শিশু হত্যা মামলার আসামী গ্রেপ্তার
মহাসড়ক অবরোধ করে বিএনপির গণঅবস্থান : দক্ষিণাঞ্চল অচলের হুমকি