
স্মার্ট সংবাদ ডেক্স :
বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই সংলগ্ন কীর্তনখোলা নদী তীরের মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে ইটভাটায়। ইতোমধ্যে অনেক ইট ভাটায় ইট তৈরির কাজ শুরু করেছেন মালিকরা। তাই নদী তীরের ফসলি জমি ও নদীর চরের মাটি প্রকাশ্যে ইট ভাটায় বিক্রি হচ্ছে। বিষয়টি যেন দেখার কেউ নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সদর উপজেলায় বৈধ ও অবৈধ মিলিয়ে প্রায় শতাধিক ইটভাটা রয়েছে। আর এ সকল ইট ভাটার মালিকরা মাটি সংগ্রহ করছে কখনো ফসলি জমি ক্রয় করে, আবার কখনো অবৈধভাবে নদীর চরের মাটি কেটে। কখনও দিনে-কখনও রাতে। এভাবে মাসের পর মাস নদীর পাড়ের মাটি কেটে নেয়ায় হুমকিতে রয়েছে ওই এলাকার বেড়িবাঁধসহ আশেপাশের ঘর-বাড়ি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক বাসিন্দারা বলেন, ফুজি ব্রিকস, সিগমা ব্রিকস, সিকো ব্রিকসসহ একাধিক ইটভাটার জন্য কীর্তনখোলা নদীর পাড় থেকে মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে। এতে সহযোগিতা করছেন স্থানীয় কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি।
সূত্রে আরও জানা গেছে, জরুরি ভিত্তিত্বে নদী পাড়ের মাটি কাটা বন্ধ করা না হলে যেকোনো সময় ভেঙে যেতে পাড়ে বেড়িবাঁধসহ আশেপাশের ঘর-বাড়ি।
এলাকাবাসী জানিয়েছেন, প্রতি বছর বর্ষার শুরুতে ওই স্থানে নদীর কিনারা থেকে মাটি কেটে স্থানীয় প্রভাবশালীরা বিভিন্ন ইটভাটার মালিকদের কাছে বিক্রি করেন। যেকারণে স্থানীয়দের ফসলি জমি ভাঙনের কবলে পড়তে থাকে। এবারও বর্ষার শুরুতে আবার মাটি কেনাবেচা শুরু হয়েছে।
সূত্রমতে, গত কয়েকদিন থেকে ওই স্থান থেকে প্রায় ১৫ থেকে ২০ ফুট গভীর মাটি কেটে ট্রলারে করে চরমোনাই ও চরকাউয়া এলাকার বিভিন্ন ইটভাটায় নেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে ফুজি ব্রিকসসের মালিক নুরু মিয়া মোবাইল ফোনে বলেন, ওইসব জমি কিনে সেখান থেকে মাটি কাটা হচ্ছে। তবে নদী পাড়ের জমি থেকে মাটি কাটা কতটুকু যৌক্তিক সে বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোন সদূত্তর না দিয়ে চায়ের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
সার্বিক বিষয়ে বরিশাল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজহারুল ইসলাম বলেন, নদী পাড়ের জমি থেকে কেউ মাটি কাটতে পারবে না। আর কেউ যদি এমনটা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
More Stories
গৌরনদীতে ‘ভোটারবিহীন’ চেয়ারম্যানের অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ
শিশু হত্যা মামলার আসামী গ্রেপ্তার
মহাসড়ক অবরোধ করে বিএনপির গণঅবস্থান : দক্ষিণাঞ্চল অচলের হুমকি