
স্মার্ট সংবাদ ডেক্স :
বিপিএলে ২০১৭ সালের ফাইনালে ২০৬ রান করেছিল রংপুর রাইডার্স। ঢাকা ক্যাপিটালস ওই রানের ধারে কাছেও যেতে পারেনি।
২০১৯ এর আসরে ১৯৯ রান করে ১৭ রানে জিতেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
এবার তাই জিতে ইতিহাস গড়েছে ফরচুন বরিশাল। রেকর্ড ১৯৫ রান করার লক্ষ্যে ৩ বল ও ৩ উইকেট হাতে রেখে ফরচুন বরিশাল ওই রান তুলে টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ফরচুন বরিশাল।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে চিটাগাংকে ব্যাটিংয়ে পাঠান বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্নক ব্যাটিং করতে থাকেন দুই ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও খাজা নাফি।
এই দুই ব্যাটারের ফিফটিতে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯৪ রান সংগ্রহ করে চিটাগাং। ৪৪ বলে ৬৬ রান করে নাফি আউট হলেও ৪৯ বলে ৭৮ রানে অপরাজিত থাকেন পারভেজ ইমন।
এছাড়া ২৩ বলে ৪৪ রান করেন গ্রাহাম ক্লার্ক।
১৯৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে মিজানুর রহমানের ফরচুন বরিশালকে দুর্দান্ত শুরু এনে দিয়েছেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও তাওহিদ হৃদয়। মারমুখী ব্যাটিংয়ে ২৪ বলে ফিফটি তুলে নেন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল।
উদ্বোধনী জুটিতে ৭৬ রান যোগ করেন তামিম-হৃদয়। তবে ২৯ বলে ৫৪ রান করে আউট হন তামিম। তার বিদায়ের পর দ্রুতই বরিশালের জোড়া উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফিরে চিটাগাং।
দাউদ মালান ২ বলে ১ ও হৃদয় ২৮ বলে ৩২ রান করে আউট হন।
এরপর কাইল মায়ার্সকে সাথে নিয়ে চাপ সামাল দেন মুশফিকুর রহিম। ৩৪ রানের জুটি গড়েন তারা। তবে দলীয় ১৩০ রানে ৯ বলে ১৬ রান করে সাজঘরে ফিরে যান মুশফিক।
এরপর ক্রিজে আসা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে সাথে নিয়ে বলের সাথে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে থাকেন মায়ার্স। তবে দলীয় ১৭২ রানে এই দুই ব্যাটারকে আউট করে চিটাগাংকে জয়ের স্বপ্ন দেখান শরীফুল ইসলাম।
মায়ার্স ২৮ বলে ৪৬ ও মাহমুদউল্লাহ ১১ বলে ৭ রান করে সাজঘরে ফিরে যান।
তবে শেষ দিকে রিশাদ হোসেনের ৬ বলে অপরাজিত ১৮ রানের ক্যামিওতে ৩ বল হাতে রেখে ৩ উইকেটের ইতিহাস গড়ে জয় পায় ফরচুন বরিশাল।
ফরচুন বরিশালের টানা দ্বিতীয়বারের শিরোপা জয়ে স্মার্ট সংবাদ পরিবার প্রত্যেক খেলোয়াড় ও ফরচুন বরিশালের কর্ণধর মোঃ মিজানুর রহমানকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
More Stories
গৌরনদীতে ‘ভোটারবিহীন’ চেয়ারম্যানের অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ
শিশু হত্যা মামলার আসামী গ্রেপ্তার
মহাসড়ক অবরোধ করে বিএনপির গণঅবস্থান : দক্ষিণাঞ্চল অচলের হুমকি