
স্মার্ট সংবাদ ডেক্স :
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বরিশালে পুলিশের দায়ের করা ১১টি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। এসব মামলায় যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তারাও জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। ফলে মামলাগুলোর কোনো কার্যকারিতা থাকছে না।
আজ শনিবার দুপুরে সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ জুলাই থেকে ৪ আগস্ট পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার সাতশ’ জনকে আসামি করে ১১টি মামলা দায়ের করেছিলেন বরিশালের বিভিন্ন থানা পুলিশ।
ওইসব মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় ৬৫ জনকে। এরইমধ্যে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গ্রেপ্তারকৃতরা জামিনে মুক্তি পান।
কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আমার থানায় চারটি মামলা করা হয়েছিল। ওইসব মামলা যথারীতি তদন্ত করে জানা যায় মামলাগুলো সঠিক ছিলোনা। যেকারণে সব মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
সূত্রে আরও জানা গেছে, ছাত্র আন্দোলনের সময় মুলাদী, হিজলা, বাকেরগঞ্জ ও বানারীপাড়া থানায় প্রায় দুইশ’ জনকে আসামি করে চারটি মামলা হয়। ওই মামলাগুলোরও চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ।
বিমানবন্দর থানায় এবং বন্দর থানায় মামলা হয়েছে আরও তিনটি।
এ ব্যাপারে বরিশালের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেজওয়ান আহমেদ বলেন, আসলে কোনো চাঁপের মুখে নয় বরং সাক্ষ্য, প্রমাণ ও তথ্যাদি না পাওয়ায় জেলা পর্যায়ের চার থানার চারটি মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
মামলা প্রসঙ্গে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার মোঃ ফজলুল করিম বলেন, মামলাগুলো তদন্ত করেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করেই এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
More Stories
গৌরনদীতে ‘ভোটারবিহীন’ চেয়ারম্যানের অপসারণ ও গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ
শিশু হত্যা মামলার আসামী গ্রেপ্তার
মহাসড়ক অবরোধ করে বিএনপির গণঅবস্থান : দক্ষিণাঞ্চল অচলের হুমকি