
স্মার্ট সংবাদ ডেক্স :
দুই কলেজ ছাত্রীকে অপহরনের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় থানা পুলিশ একই পরিবারের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন।
সোমবার দিবাগত রাতে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বরিশালের গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, অপহৃতা দুইজনেই সরকারি গৌরনদী কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীর ছাত্রী।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-শরীয়তপুরের নড়িয়া থানার মশুরা গ্রামের উদয় দাস, তার বাবা গোবিন্দ দাস ও মা বেবী দাস।
এজাহারে জানা গেছে, মামলার প্রধান আসামি হৃদয় দাসের খালাতো বোনের বাড়ি গৌরনদীর টরকী সুন্দরদী এলাকায়। মাঝে মধ্যে হৃদয় তার খালাতো বোনের বাড়িতে বেড়াতে আসতো। সে সুবাদে প্রতিবেশী সুন্দরদী এলাকার বাসিন্দা কলেজ ছাত্রী লোপা দাসকে (১৭) প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয় হৃদয়।
সূত্রে আরও জানা গেছে, প্রেমের প্রস্তাবে ব্যর্থ হয়ে ক্ষিপ্ত হয় হৃদয়। একপর্যায়ে গত ২০ ফেব্রুয়ারি কলেজের যাওয়ার পথে হৃদয় ও তার সহযোগিরা টরকী বন্দর ভিক্টোরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা থেকে মাইক্রোবাসযোগে লোপা দাস ও তার বান্ধবী স্নিগ্ধা সানজিদকে (১৭) জোরপূর্বক অপহরন করে নিয়ে যায়। সেই থেকে তাদের কোন খোঁজ মিলছে না।
এ ঘটনার পর অপহৃতাদের পরিবারের সদস্যরা গ্রেপ্তারকৃতদের বাড়িতে খুঁজতে গেলে তাদের বিভিন্নধরনের ভয়ভীতি প্রদর্শন করা হয়।
একপর্যায়ে উপায়অন্তুর না পেয়ে গৌরনদী মডেল থানায় একটি অপহরন মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে উল্লেখিত তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জুয়েল হাওলাদার বলেন, অপহৃতাদের উদ্ধারসহ মামলা প্রধান আসামি হৃদয় দাসকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
More Stories
জরিমানার বিধান না থাকায় বাড়ছে বকেয়া
অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম শাটডাউন : ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি
বরিশালে আওয়ামী লীগের চার নেতা-নেত্রী গ্রেপ্তার