
অনলাইন ডেক্স :
নলচিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বাসায় তল্লাশি চালিয়ে ২৭৯ টি সিমকার্ড ও ৭৬টি মোবাইল ফোন জব্দ করেছে নৌ-বাহিনীর সদস্যরা।
এসব সিম কার্ডে নগদের মাধ্যমে বিভিন্ন ভাতা ভোগীদের নামে বরাদ্দের অর্থ লেনদেন করা হতো।
নৌ-বাহিনীর অভিযানে আটককৃত চেয়ারম্যান মুনছুর উল্লাহ শিবলীকে বুধবার (১১ সেপ্টম্বর) সন্ধ্যায় নোয়াখালীর হাতিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। মুনছুর উল্লাহ শিবলী নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার নলচিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ।
এর আগে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের সুপার মার্কেটের সামনে থেকে সন্দেহজনকভাবে চেয়ারম্যান শিবলীকে আটক করে নৌ-বাহিনীর একটি দল। পরে তার বাসায় তল্লাশি চালিয়ে সিম কার্ড ও মোবাইল ফোনগুলো জব্দ করা হয়।
হাতিয়া থানার ওসি জিসান আহম্মেদ বলেন, শিবলী চেয়ারম্যানকে থানায় হস্তান্তর করেছে নৌ-বাহিনী। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
চেয়ারম্যান শিবলী সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ওয়ালী উল্লাহর ছেলে। তিনি ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নলচিরা ইউনিয়ন থেকে প্রার্থী হয়ে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
নৌ-বাহিনীর নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, চেয়ারম্যান শিবলীর বাসা তল্লাশি চালিয়ে ২৭৯টি সিম কার্ড ও ৭৬টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। এসব সিম কার্ড দিয়ে সাধারণ মানুষকে দেওয়া বিভিন্ন ভাতার অর্থ আত্মসাত করতেন ইউপি চেয়ারম্যান।
সিম কার্ডের মাধ্যমে বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা, বয়স্ক ভাতা দেওয়া হতো। প্রতিটি সিম কার্ড নির্দিষ্ট ভাতাভোগীর নামে রেজিস্ট্রেশন করা।
প্রতি তিন মাস পরপর ভাতাভোগীর নামে বরাদ্দ করা টাকা রেজিস্ট্রেশন করা মোবাইল ফোন নম্বরে চলে যেতো। যা পরে ভাতাভোগীরা নগদ এজেন্টদের কাছে গিয়ে উত্তোলন করতে পারতেন। কিন্তু চেয়ারম্যান অবৈধভাবে এসব সিম কার্ড নিজের কাছে রেখে সাধারণ মানুষের ভাতার টাকা নিজে আত্মসাত করতেন।
More Stories
শেষ রক্ষা হয়নি হাতকড়া নিয়ে পালানো দুই মাদক সেবীর
বিএনপির ১২ নেতার পদ ছয় মাসের জন্য স্থগিত
টিকটকের ভিডিও করতে খুন করা হয় বরিশালের নুরুলকে