June 9, 2025

স্মার্ট সংবাদ

স্মার্ট সংবাদ

ডাসারের ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে রাতেও উড়ছে জাতীয় পতাকা

মাদারীপুরের নবগঠিত ডাসার উপজেলার একটি ইউনিয়ন পরিষদ কার্ষালয়ে রাতেও জাতীয় পতাকা উড়তে দেখা গেছে।

এ ঘটনাটি নবগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের অস্থায়ী কার্যালয়ে ঘটেছে। তবে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান দুলাল তালুকদার অবশ্য ভুল স্বীকার করলেও দোষ চাপিয়ে দিয়েছেন গ্রাম পুলিশদের ওপর।

এদিকে এ বিষয়ে উপজেলার একজন সরকারি কর্মকর্তা বলেন, রাতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা অবমাননার শামিল। সন্ধ্যার আগে পতাকা নামিয়ে ফেলতে হবে। কোনো অবস্থাতেই রাতে পতাকা টানানো যাবে না। দেশে পতাকা উত্তোলনের নিয়ম অনুযায়ী, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা যাবে। সন্ধ্যার আগেই পতাকা নামিয়ে ফেলতে হবে। অপরদিকে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের অবহেলায় রাতেও জাতীয় পতাকা না নামানোয় ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয় সাধারন জনগন। আজ বুধবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন স্থানীয় সচেতন মহল জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত সারে নয় টার দিকে তারা ইউনিয়ন পরিষদ কার্ষালয়ে জাতীয় পতাকা উড়তে দেখেন। বিষয়টি দেখে তাদের খারাপ লেগেছে। জাতীয় পতাকার সম্মান অক্ষুন্ন রাখতে আরও দায়িত্বশীল হওয়া প্রয়োজন ছিল। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের বিচারের দাবিও জানান তারা।

এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান দুলাল তালুকদার বলেন, ‘আমার জরুরী কাজ থাকার কারনে বিকেলে আমি ইউনিয়ন পরিষদে যাইনি। তবে পতাকা নামানোর কথা ছিল একজন গ্রাম পুলিশের। কিন্তু তার ভুলবশত পতাকা নামাতে খেয়াল ছিল না। তার ভুলের কারণে পতাকাটি না নামিয়ে রাখায় আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। ভবিষ্যতে আর এমন ভুল হবে না।

বীর মুক্তিযোদ্ধা এসকান্দার শরিফ বলেন, রাতে পতাকা উড়ছে এটা মেনে নেয়া যায়না।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, ‘সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জাতীয় পতাকা উড়ানোর নিয়ম রয়েছে। রাতে আমাদের লাল-সবুজের জাতীয় পতাকা উড়ানোর বিষয়টি অবমাননার শামিল। ‘জাতীয় পতাকার সম্মান অক্ষুন্ন রাখা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। ওই ইউপি পরিষদ কার্যালয়ে রাতের আঁধারে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে রেখেছে বিষয়টি আমি যানতে পেরেছি। তবে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

‍SmartSangbad Copyright © All rights reserved. | This Site Developed by Arifin Riad