স্মার্ট সংবাদ ডেক্স :

বরিশালের গৌরনদীতে নাঈম হাওলাদার নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের বসত ঘরে বোমা হামলা চালানো হয়েছে। বোমার আঘাতে নাঈমের বিধবা মা রাজিয়া বেগম গুরুত্বর আহত হয়েছেন। মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আহতর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত পহেলা মে দিবাগত রাতে সন্ত্রাসীরা নাঈম হাওলাদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের বসত ঘরে বোমা হামলা চালায়। এসময় সন্ত্রাসীদের বোমার আঘাতে নাঈম হাওলাদারের মা রাজিয়া বেগম গুরুত্বর আহত হন। স্থানীয়রা তাকে প্রথমে গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে ও পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছেন।

সূত্রে আরও জানা গেছে, নাঈমের বাবা মালেক হাওলাদারের নিজ মালিকানাধীন জমি জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি। পৈত্রিক সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য নাঈমের পরিবারের সদস্যরা ও নাঈমের ফুফাতো ভাই মামুন গত পহেলা মে সকালে শ্রমিক এবং কৃষক সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে সমাবেশ করেন। প্রতিপক্ষের লোকজনে সমাবেশ চলাকালীন সময় অর্তকিতভাবে হামলা চালায়।

এসময় সেখানে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে হামলাকারী দুইজন ছাত্রসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে পাঁচজন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নাঈম হাওলাদার ও তার ফুফাতো ভাই মামুনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ মামুনকে গ্রেপ্তার করেন।

সূত্রে আরও জানা গেছে, মামলা দায়ের করার পরেও জমি দখলকারী প্রভাবশালীরা নাঈম হাওলাদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে তাদের বসত ঘরে বোমা হামলা চালায়।

সার্বিক বিষয়ে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, পহেলা মে সকালে সমাবেশস্থলে হামলা ও পাল্টা হামলার সময় শ্রমিক সংগঠনের নেতা মো. মামুনের ছোড়া গুলিতে দুইজন ছাত্র আহত হয়। সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে একটি রিভালবারসহ শ্রমিক সংগঠনের নেতা মো. মামুনকে গ্রেপ্তার করেন।

ওসি আরও বলেন, পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে গ্রেপ্তারকৃত মামুন জানিয়েছে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধারকৃত রিভালবারের মালিক নাঈম হাওলাদার। নাঈমকে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের একাধিক টিম অভিযান অব্যাহত রেখেছেন বলেও ওসি উল্লেখ করেন।

তবে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত রাজিয়া বেগমের স্বজনরা জানিয়েছেন, প্রতিপক্ষের লোকজন এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তারা মামলা দায়ের করতে সাহস পাচ্ছেন না। ওইসব প্রভাবশালীরা নাঈমকে পেলে হত্যা করার হুমকি অব্যাহত রেখেছেন। ফলে প্রভাবশালীদের হুমকির মুখে তারা এখন চরম নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছেন।